বিট রুট খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

বিট রুট খাওয়ার উপকারিতা অনেক।এতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ যা শরীরকে শক্তিশালী এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিটরুট নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস থাকা জরুরী। কেননা বেগুনি রংএর এ সবজিতে লুকিয়ে রয়েছে নানা উপকারী গুন।

এতে পাবেন ম্যাঙ্গানিজ,পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়োডিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি,ফাইবার ও এন্টি অক্সিডেন্ট। এত কিছুর কারণেই  বিট রুটকে বলা হয় সুপার ফুড।

পেজ সূচিপত্রঃ বিট রুট খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা 

বিট রুট খাওয়ার উপকারিতা 

বিট রুট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে প্রথমে জেনে নিন। বিটরুটে আছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিটা খাবারের যেমন উপকারিতা রয়েছে ও তেমন অপকারিতা রয়েছে। যেহেতু আমরা প্রতিটা খাবার খাই উপকারের জন্য আর অপকারিতা ত্যাগ করি। আজ আমরা প্রথমে বিট রুট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানবো। 

  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
  • ওজন কমায়
  • শক্তি ও কর্ম ক্ষমতা বাড়ায়
  • প্রদাহ কমায়
  • অন্ত্র সুস্থ ও সবল রাখে
  • মস্তিষ্ক সুস্থ রাখে
  • হজম শক্তি বাড়ায়
  • ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
  • দীর্ঘমেয়াদি চোখের যত্নে 

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ বিট রুটে পাবেন নাইট্রেট। এই নাইট্রেট আমাদের দেহে ঢুকে পরিণত হয় নাইট্রিক অক্সাইডে। রক্তচাপ ঠিক রাখতে নাইট্রিক অক্সাইড এর ভূমিকা অনেক। নাইট্রিক অক্সাইডের প্রভাবে আমাদের রক্তনালী ঠিকঠাক থাকে। ফলে সিস্টোলিক ও ডাইস্টোলিক দুই ধরনের রক্তচাপ থাকে নিয়ন্ত্রণে। বিট রুট শরীরের রক্ত প্রবাহ আরো ভালো করে। ফলে আমাদের হৃদপিণ্ড হয় শক্তিশালী এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে আনে।  

ওজন কমায়ঃ সেদ্ধ বিটরুট খেলে পাবেন প্রচুর পুষ্টি, কিন্তু এতে ক্যালরি কম থাকবে। অর্থাৎ পুষ্টি ঠিকমতো পাবেন আর ওজনও বাড়বে না।  

শক্তি ও কর্ম ক্ষমতা বাড়ায়ঃ যারা নিয়মিত খেলাধুলা ও ব্যায়াম করেন তারা বিট রুটের জুস খেতে পারেন। বিট রুটে থাকা নাইট্রেট শরীরের কোষের শক্তি উৎপাদক মাইটোকনড্রিয়ার কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। আর এতে শারীরিক কর্ম ক্ষমতা বাড়ে। 

প্রদাহ কমায়ঃ বেশিরভাগ রোগবালাই এর মূল কারন প্রদাহ। শরীরের রোজকার নানা ছোটখাটো সমস্যা সেরে না উঠলে মারাত্মক প্রদাহের রূপ ধারণ করে। বিট রুটের গারো রঙে আছে বিটালেইন নামক রঞ্জক উপাদান যা শরীরের জন্য উপকারী। তাই বিটরুট বিট রুট খাওয়ার উপকারিতা অনেক। 

অন্ত্র সুস্থ ও সবল রাখেঃ ভালো হজম ও সুস্থ লিভারের জন্য দরকার ফাইবার। যা বিট রুটে প্রচুর পরিমাণে আছে। বিট রুট শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ ধুয়ে মুছে সাফ করে দেয়। যার ফলে আপনি থাকেন নিরোগ। আমাদের শরীরের সুগার বা শর্করার মাত্রা কম বেশি হলে কি সমস্যা হতে পারে তা সবার জানা আছে।  বিটরুটের রস রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যা জরুরী। তাইবিট রুট  খাওয়ার গুরুত্ব অনেক। 

মস্তিষ্ক সুস্থ রাখেঃ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মস্তিষ্ক দুর্বল হতে থাকে। বিটরুট মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাড়ায়। ফলে বেড়ে যায় স্মৃতিশক্তি। অর্থাৎ বিট রুট মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে দারুণ কার্যকর।

 হজম শক্তি বাড়ায়ঃ বিট রুট খাওয়ার জন্য হজমের সমস্যা ঠিক থাকে।কারণ, আপনার হজম সংক্রান্ত সকল সমস্যা দূর করবে বিট রুট। বিট আঁশ জাতীয় খাবার। আঁশ জাতীয় খাবার হজমে সাহায্য করে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ কোলন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে বিট খুব ভালো কাজ করে এবং এর ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। প্রচুর পরিমাণে পিগমেন্টের কারণে ধারণা করা হয় লাল বিট কারসিনোজেনের বিরুদ্ধে কাজ করে, যেটি কোলন ক্যান্সারের জন্য দায়ী। বিটরুট খাওয়ার ফলে এ সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়। 

 দীর্ঘমেয়াদি চোখের যত্নেঃ বিট রুট খাওয়া চোখের জন্য খুবই উপকারী। সবুজ বিট কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায়। সিদ্ধ বা পরিপক্ক অবস্থাও এটিতে থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা লুটেইন নামে পরিচিত। লুটাইন বয়স সম্পর্কিত চোখের রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বিট রুট খাওয়া বিশেষ উপকারিতা রয়েছে। 

বিট রুট কারা খাবেন না

শীতকালে প্রচুর পরিমাণে বিট রুট পাওয়া যায়। দামও বেশ কম।বিট রুট শরীরের জন্য অনেক উপকারী হলেও একটানা নিয়মিত না খেয়ে সপ্তাহে ৪ থেকে ৫ দিন খাওয়া ভালো। এটি ভীষণ পুষ্টিকর কিন্তু শরীরের কিছু সমস্যা থাকলে এটি একদম খাওয়া যাবে না জেনে নিন সে সম্পর্কে- 

  •  যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের জন্য ক্ষতিকর কারণ এটি রক্তচাপ আরো কমিয়ে দেয়।
  • অনেকের বিট রুটে এলার্জি হয়ে থাকে। যার ফলে ত্বকে ফুসকুড়ি চুলকানি জ্বালাপোড়া হতে পারে। এলার্জি সমস্যা হলে এটি খাওয়া উচিত না।
  • যারা কিডনিতে পাথরের সমস্যায় ভুগছেন তাদের বিট রুট খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • ডায়াবেটিস থাকলে বিট খাওয়া যাবেনা। বিটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অত্যন্ত বেশি। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাবে দ্রুত।
  • তাই যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তারা বিট রুট  খাদ্য তালিকায় রাখতে চাইলে অবশ্যই চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিবেন। 

বিট রুট খাওয়ার অপকারিতা

বিট রুট খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে। তেমন এর অপকারিতা রয়েছে। অতিরিক্ত বিট রুট  খাওয়ার আনফিলাকসিক্স হতে পারে। যার ফলে শরীরের তীব্র এলার্জি দেখা দিতে পারে। ত্বকে লাল র‍্যাশ, চুলকানি, ফুলে যাওয়া, হাঁপানি, গলা শক্ত হওয়া হতে পারে। তাই যাদের অতিরিক্ত এলার্জি সমস্যা রয়েছে তাঁরা বিট রুট খাওয়া পরিহার করতে পারেন।

 পরিমিত পরিমান বিট খেয়ে দেখতে পাররেন। ডায়াবেটিস থাকলে বিট কোনোভাবে খাওয়া যাবে না তাই আমাদের বুঝে শুনে সবকিছু খাওয়া উচিত। যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা তাদের জন্য বিটনিক ক্ষতিকর। কারণ এটি রক্তচাপ আরো কমিয়ে দেয়। কিডনিতে পাথরে সমস্যা থাকলে বিট পরিহার করুন।


বিট রুট খাওয়ার পুষ্টিগুণ

বিট রুট খাওয়ার পুষ্টিগুণ অনেক। এটা দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি পুষ্টিগুণে এটি ভরপুর। প্রায় এক কাপ বিট রুটে রয়েছে ৪৩ ক্যালরি, ৮৮ শতাংশ পানি, ১.৬ গ্রাম প্রোটিন, ৯.৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৬.৮ গ্রাম চিনি, ২.৮ গ্রাম ফাইবার, ০.২ গ্রাম ফ্যাট। এছাড়া আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, কপার এর মতো প্রয়োজনীয় সবকিছু উপাদানে ভরপুর এই সবজি। নিচে জেনে নেই বিদ্যুৎ খাওয়ার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে-

  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এবং ১০০ গ্রাম বিট কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আপনার রক্তচাপ স্বাভাবিক করে তুলতে পারে।
  • ডায়াটারি ফাইবার রয়েছে বিটে যা খাবার দ্রুত হজমে সাহায্য করে।
  • বিট রুটে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম ও কপার রয়েছে এসব উপাদান হাড় মজবুত রাখে।
  • মস্তিষ্কের সুরক্ষায় এই সবজির জুরি নেই স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া রোধ করতে নিয়মিত বিট রুট খান।
  • ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমায়
  •  প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে বিটরুটে
  • বিটরুটে থাকা বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে। 
  • বিট রুটে থাকা ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি রেডি ক্যালসের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম। 

বিট রুট খাওয়ার ক্ষতিকর দিক 

স্বাস্থ্যকর খাদ্য সবার জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ কিংবা কার্যকর নাও হতে পারে। এমনকি তা কারো কারো জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এই যে বিট বা বিট রুট ভিটামিন আইরন ফলিক এসিডের চমৎকার উৎস অথচ এটা সবার জন্য সমান নয়। অতিরিক্ত বিট রুটের রস পান করলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

 বিট রুট খাওয়ার উপকারিতা থাকলেও এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। যার জন্য অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। পরিমিত খেতে হবে এবং কিছু ক্ষেত্রে পরিহার করতে হবে। নিচে বিট রুট খাওয়ার ক্ষতিকর দিক আলোচনা করা হলো-

বিটুরিয়াঃ খাবারে বিট যুক্ত রঙিন খাবার খাওয়ার পরে অনেকের লাল বা গোলাপি রঙের প্রস্রাব হয়ে থাকে। এমন প্রস্রাব হওয়াকে বলা হয় বিটুরিয়া। যাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে তাদের এ সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তাই আইরনঘটিত সমস্যা থাকলে বিট খাওয়ার পরে যদি প্রস্রাবের রং লাল বা গোলাপি হয় তাহলে বিট খাওয়া বন্ধ করে দিন।

কিডনিতে পাথরঃ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, বিট অক্সালেট সমৃদ্ধ এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। বিট ইউরিনারি অক্সালেট নিঃসরণ বাড়ায়। যা শরীরে ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথরের বিকাশ ঘটাতে পারে। তাই যারা কিডনিতে পাথরের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের বিট পরিহার করা উচিত। 

পেটের সমস্যাঃ বিট খেলে পেট সমস্যা হতে পারে। পেট খারাপ হওয়ার কারণ বিটে নাইট্রেট থাকে। আর শরীরে উচ্চমাত্রা হয় নাইট্রেট এর কারণে।  তাছাড়া বিটের জুস পানের ফলে কেউ কেউ পেটের রোগে ভুগতে পারেন।

 বিট খাওয়া উচিত নয় গর্ভাবস্থায়ঃ  বিট রুটে নাইট্রেট থাকে। এই উপাদান গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক হতে পারে। গর্ভ অবস্থায় এনার্জীর অভাব দেখা দিতে পারে। সেই সাথে মাথা ব্যথা, ঘাড় ব্যথা, অনেকের চোখ পায়ের চারপাশে ত্বকের রঙ নীল হয়ে যেতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় বিটরুট না খাওয়াই উত্তম।

লিভারের ক্ষতি হতে পারেঃ যারা অতিরিক্ত খেয়ে লিভার দুর্বল করে ফেলেছেন তাদের বিটরুট খাওয়াতে সমস্যা হতে পারে। অত্যাধিক বিটরুট ভোজনের ফলে লিভারের ধাতব আয়রন জমা হতে পারে যা লিভার কে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।

ক্যালসিয়ামের ঘাটতিঃ অতিরিক্ত বিট রুট খাওয়ার ফলে শরীরের ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমে যায়। তখন শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়। 

বিট রুট খাওয়ার পদ্ধতি

বিট রুট কাঁচা এবং রান্না করে দুভাবে খাওয়া যায়। কাঁচা খাওয়া হলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।  জুস সালাত বানিয়ে খাওয়া যায় কিংবা সবজি হিসেবে রান্না করেও খাওয়া যেতে পারে। বিটরুট প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। এটি সালাত সবজি এবং জুস আকারে খাওয়া হয়। অনেকে আবার সবজি হিসেবে রান্না করে খেয়ে থাকেন। তবে বিভিন্ন ফলের সাথে মিশিয়ে জুস হিসেবে খেয়ে থাকেন স্বাস্থ্য সচেতনরা।

রাতে বিট রুটের রস পান করলে অনেকের ঘুমের মান উন্নত হতে পারে। বিট রুট রসে নাইট্রেট থাকে। যা রক্তের অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে এবং টিস্যুতে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করতে পারে। সাধারণত সন্ধ্যায় বিট রুট  রস পান করা থেকে বিরত থাকতে বলেন চিকিৎসকরা। কারণ ঘুমের আগে উচ্চ চিনির পরিমাণ হজমের জন্য আদর্শ নাও হতে পারে। 

খালি পেটে বিট রুটের রস পান করা নিরাপদ

বিটরুট একটি পুষ্টিকর সবজি যা ত্বকে স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বলতা যোগ করার সাথে সাথে লিভারকে পরিষ্কার করতে পারে। সকালে নাস্তায় অন্যান্য ফলের সাথে বিট রুট মিশিয়ে খান। তবে খালি পেটে প্রতিদিন বিট রুটের রস পান করলে কিছু ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এটি কখনো কখনো বদহজম গ্যাস এবং পেট ফাঁপা হতে পারে। 

রক্তের শর্করার মাত্রা হ্রাস করে। বিটরুটে অক্সলেট কিডনিতে ছোট ছোট পাথর তৈরি করতে পারে।খালি পেটে বিট রুটের রস পান করলে প্রস্রাব এর রং পরিবর্তন হতে পারে। যার ফলে বিটুরিয়া নামক একটি রোগ হতে পারে। খালি পেটে বিটরুট রস পান করা উচিত নয় কারণ রক্তচাপ দ্রুত কমে যেতে পারে। খালি পেটে এ রস পান করলে লিভারের সমস্যা হতে পারে।


কাঁচা বিটরুট কেন খাবেন

বিট রুট খাওয়ার উপকারিতা অনেক। যেভাবে খাই না কেন এতে পুষ্টি বিদ্যমান। প্রতিদিন এই স্বাস্থ্যকর কাঁচা বিট রুট সালাত করে খান। বিটরুট কাঁচা এবং রান্না করে দুভাবে খাওয়া যায়। কাঁচা খাওয়া হলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। বিট রুটের জুস সালাত বানিয়ে খাওয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন সবজির সাথে মিশিয়ে রান্না করে খেতে পারবেন।

বিট রুট কাঁচা এবং রান্না করে দুভাবে খাওয়া যায়। কাঁচা খাওয়া হলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।  জুস সালাত বানিয়ে খাওয়া যায় কিংবা সবজি হিসেবে রান্না করেও খাওয়া যেতে পারেন। তবে বিভিন্ন ফলের সাথে মিশিয়ে জুস হিসেবে খেয়ে থাকেন অনেক।

 পাঠকের শেষ কথা

বিট রুট খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি? এই বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি আপনি যদি বিটরুট খেয়ে থাকেন এবং এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে থাকেন তাহলে আজকেরে আর্টিকেল আপনার জন্যই। এখানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধু বিটরুট  নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

 আশা করি আপনারা এখান থেকে বিট রুট খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম কিভাবে খাবেন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। স্বাস্থ্য মূলক আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। কারণ আমরা নিয়মিত স্বাস্থ্য মূলক আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url