ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের নিয়ম



 ভোটার আইডি কার্ড বাংলাদেশ নাগরিকের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া সব কাজ করা মুশকিল ভোটার আইডি কার্ড করার সময় ভোটার আইডি কার্ডের করতে ভুল আসে ভুলগুলো হতে পারে নিজের দ্বারা বা কম্পিউটার অপারেটরের মাধ্যমে এই ভুলগুলো সংশোধন করার বিভিন্ন রকম পদ্ধতি আছে। 


নতুন ভোটার করার সময় কেউ ভুল তথ্য প্রদান করলে অথবা কম্পিউটার অপারেটর ভুল করলে আইডি কার্ডে ভুল হয়। সাত থেকে ১৫ দিনের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে পারেন। আসুন জেনে নিই অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম।

পেজ সূচিপত্রঃ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের তথ্য নিচে দেয়া হল

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের নিয়ম

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য প্রথমে আমাদের  ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। এখন এনআইডি নাম্বার জন্ম তারিখ দিয়ে একাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে তারপর ঠিকানা মোবাইল নাম্বার এবং ফেস ভেরিফিকেশন করে একাউন্ট লগইন করতে হবে। অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে আপনার এনআইটি একাউন্টের ড্যাশবোর্ড থেকে এডিট প্রোফাইলে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংশোধন করতে হবে।

সংশোধন ফি জমা দিয়ে অনলাইনে আবেদন জমা দিন। ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করে সংশোধিত এনআইটি কার্ড ডাউনলোড করুন। ভোটার আইডি সংশোধন আবেদন জমা দেয়ার আগে খেয়াল রাখতে হবে যাতে সংশোধনের জন্য প্রয়োজনও প্রমাণপত্র আপলোড করতে ভুল না হয়। আপনার ভোটার আবেদনে যে তথ্য পরিবর্তন করতে চান তা তার সত্যতা প্রমাণ করতে সত্যায়িত কাগজপত্র আবেদন পত্রের সাথে জমা দিতে হবে। আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন বৈধ হলে সাধারণত ২৫ দিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন অনুমোদন পেয়ে যায়।

 ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে সাধারণত প্রয়োজন হয় শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন কপি, সার্ভিস বইয়ের কপি, বিয়ের কাবিন নামা, পিতা-মাতার আইডি কার্ড, সন্তানের আইডি কার্ড এগুলো যে কোন দুটি ডকুমেন্ট দিয়ে এনআইডি কার্ড সংশোধন করা যায়।

 মূলত তথ্য সংশোধনের জন্য ধরন অনুযায়ী প্রয়োজনে ডকুমেন্ট আলাদা হয়ে থাকে। নিচের সংশোধনের ধরন অনুযায়ী প্রয়োজনের ডকুমেন্টগুলো দেয়া হলো-

নাম সংশোধন-

  •  এসএসসি বা এইচএসসি অথবা সমমানের সনদ
  • অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
  • পাসপোর্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স
  • এমপিও সীট সার্ভিস বহি
  •  বিবাহের কাবিননামা
  • কমপক্ষে দুই সন্তানের এনআইডি কার্ডের কপি যেখানে পিতা মাতার নাম শুদ্ধ আছে
  • জন্ম তারিখ সংশোধন-
  •  এসএসসি বা এইচএসসি অথবা সমমানের সনদ
  • অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
  • পাসপোর্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স
  • এমপিও সীট সার্ভিস বহি
  •  বিবাহের কাবিননামা 
  • কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়ন
  • পিতা মাতার নাম সংশোধন-
  • এসএসসি বা এইচএসসি অথবা সমমানের সনদ
  • অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
  • পাসপোর্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স
  • পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র
  • পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন
  • চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে অফিস প্রধানের প্রত্যয়ন
  • ওয়ারিশ সনদ
  • ক্রম অনুযায়ী নাম ও জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর
  • ভাই বোনের জাতীয় পরিচয় পত্র

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে সর্বনিম্ন ২৩০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৪৫ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। আবেদনের ধরণের উপর সংশোধন ফি নির্ভর করে। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের তিনটি প্রধান শ্রেণীতে বিভক্ত-

  •  ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন- ২৩০ টাকা
  •  অন্যান্য তথ্য সংশোধন-১১৫ টাকা
  •  ঠিকানা পরিবর্তন-৩৭৫ টাকা

এনআইডি কার্ডের সংশোধন ফি বিকাশ রকেট ও নগদ মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে পরিশোধ করা যায় বিকাশ এন আইডি নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি সংশোধন ফি জমা দেওয়া যায়।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করার নিয়ম

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য আপনাকে প্রথমে এনআইডি ওয়েবসাইটে আপনার এন আই ডি নাম্বার জন্ম তারিখ এবং একটি সিকিউরিটি ক্যাপচার পূরণ করে একাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য আপনাকে এনআইডি নাম্বার অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর লগইন করে প্রোফাইল থেকে এডিট লিংক ক্লিক করে তথ্য গুলো সংশোধন করতে হবে। এরপর সংশোধনী ও প্রমাণপত্র আপলোড করে আবেদন জমা দিন আবেদন অনুমোদিত হলে তথ্য সংশোধন হবে। জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনী প্রক্রিয়াটির নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো -

ধাপ ১- একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন

জাতীয় পরিচয় পত্র ওয়েবসাইট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য প্রথমে ভিজিট করতে হবে এনআইডির ওয়েবসাইটে। ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার জন্ম তারিখ ঠিকানা মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন করে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।                              

ভোটার আইডি তথ্য প্রদান

অ্যাকাউন্ট তৈরির এই পর্যায়ে যারা এনআইডি কার্ড ইনফরমেশন চেঞ্জ করতে চাচ্ছেন তার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার জন্ম তারিখ দিয়ে ফরম ফিলাপ করতে পারেন। এনআইটি কার্ডের নাম্বার জানা না থাকলে ভোটার স্লিপ এর ফরম নাম্বার ব্যবহার করতে পারেন।

জাতীয় পরিচয় পত্রের ঠিকানা যাচাই

ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করা হলে, এখন আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্রের ঠিকানা যাচাই করতে বলা হবে। এনআইডি কার্ডের আবেদনে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা যেমন দেয়া ছিল ঠিক তেমন করে ঠিকানা দিতে হবে। 

মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন

আইডি কার্ডে আপনার যে মোবাইল নাম্বার দেয়া ছিল সেই নাম্বারটির প্রথমে কিছু সংখ্যা এবং শেষের তিনটি নাম্বার দেখানো হবে। এই মোবাইল নাম্বার আপনার কাছে থাকলে কোড পাঠানোর জন্য বার্তা পাঠান বাটনের চাপুন। আর ফোন নাম্বারটি না থাকলে নতুন একটি নাম্বার দিন। আপনার মোবাইলে ছয় সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড চলে গেলে সেটি ঘরে বসিয়ে বহাল চাপুন। নাম্বার ভেরিফিকেশন হয়ে গেলে আপনাকে নিয়ে যাবে ফেস ভেরিফিকেশন করার জন্য।

ফেস ভেরিফিকেশন

অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশনের শেষ ধাপে এন আই ডি ওয়ালেট এর মাধ্যমে ফেস ভেরিফিকেশন করে প্রোফাইলে প্রবেশ করতে হবে। ফেস ভেরিফিকেশন করতে ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত একটা কিউআর কোড স্ক্যান থাকবে সেটাই সেটাই স্ক্যান করে নিতে হবে। 

এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপ এ ফেস স্ক্যান শুরু হলে যার ভোটার আইডি সংশোধন করা হবে তার মুখমন্ডল ডানে বামে নড়িয়া অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশনের কাজ শেষ করতে হবে এর মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করা হয় যেন এনআইটি আসল গ্রাহকে কেবল অ্যাকাউন্ট এক্সেস করতে পারে

ফেস ভেরিফিকেশনের ধাপ শেষ হলে আপনার একাউন্টে পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে চাইলে পাসওয়ার্ড দিতে পারেন না চাইলে এড়িয়ে যেতে পারেন। এখানে পাসওয়ার্ড দেয়ার সুবিধা হল পরবর্তীতে আপনার একাউন্টে  লগইন করার সময় আবার ভেরিফিকেশন গুলো করার কোন প্রয়োজন হয় না।

স্টেপ ২- ভোটার আইডি তথ্য সংশোধন

জাতীয় পরিচয়পত্রের একাউন্টে লগইন করার পর প্রোফাইল অপশনে যান এখানে তিন ধরনের তথ্য রয়েছে ব্যক্তিগত তথ্য অন্যান্য তথ্য ঠিকানা ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন করার জন্য উপরের ডান পাশ থেকে এডিট বাটনে ক্লিক করবেন। তথ্যগুলো হল-

  • ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন
  • ঠিকানা পরিবর্তন
  • অন্যান্য তথ্য সংশোধন

ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন

ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধনের তালিকা নিজের নাম ব্যক্তির নিজের নাম ইংরেজিতে জন্ম তারিখ পিতার নাম মাতার নামের ভুল সংশোধন করতে পারেন ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধনের অধীনে যে সকল তথ্য পরিবর্তন করা যায় তা হল-

  • ব্যক্তির নিজের নাম বাংলাতে
  • নিজের নামে ইংলিশে
  • জন্ম তারিখ পরিবর্তন
  • জন্ম নিবন্ধন নাম্বার
  • লিঙ্গ
  • জন্মস্থান
  • পিতার নাম সংশোধন বাংলা
  • পিতার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার
  • মায়ের নাম সংশোধন বাংলা
  • মায়ের ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার

এই তালিকায় থাকা এক বা একাধিক তথ্য পরিবর্তন সংশোধন করার জন্য ব্যক্তিগত তথ্য এডিট পাটনের চাপতে হবে আপনি যে তথ্য সংশোধন করতে চান সংশোধন করতে হবে। আপনি যে তথ্যটি সংশোধন করতে চান তার বাম পাশে টিক অপশনে ক্লিক করুন। এভাবে আপনার ভুল তথ্য গুলো প্রমাণপত্রের সাথে মিল রেখে সঠিকভাবে টাইপ করুন। তারপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন এখানে আপনার সংশোধন করা তথ্যের  সংশোধিত রূপ দেখতে পারবেন সব ঠিক থাকলে আবারো পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।


সংশোধনী তথ্য যাচাই

এই সংশোধনী তথ্য যাচাই এর মূল উদ্দেশ্য হলো আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের আগে কি ছিল এখন বর্তমানে কি আছে সেটা দেখাবে। এখানে এটি ক্রস ম্যাচ করে চেক করুন সবকিছু ঠিক থাকলে পরবর্তী বাটনে চাপুন। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় এবং কোন ধরনের পরিবর্তনের জন্য কি কি ডকুমেন্ট আপলোড করতে হয় বিস্তারিত জানতে পারবেন। 

স্টেপ ৩-ফি প্রদান

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য নির্ধারিত সরকারি ফি জমা দিতে হয় সংশোধনের ধরন অনুসারে ফি  বিভিন্ন হয়ে থাকে এই সংশোধন ফি বিকাশ রকেট নগদ একাউন্ট ব্যবহার করে পরিশোধ করা যায়। আপনার কাছে যদি বিকাশ নগদ অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে যেকোনো ধরনের অ্যাকাউন্ট থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি জমা দিতে পারেন। 

বিকাশ বা রকেটে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনটি কিভাবে জমা দিবেন

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি জমা দেয়ার জন্য যে কোন মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট থেকে সংশোধন কি জমা দেয়া যায় বিকাশ রকেট এবং নগদ ব্যবহার করে টাকা জমা দেওয়া যায়। বাংলাদেশের বিকাশ একাউন্ট বেশি জনপ্রিয় হওয়ায় বিকাশে ভোটার আইডি সংশোধনের নিয়ম অনেক সহজ।

বিকাশের মাধ্যমে এন আই টি কারেকশন ফ্রী দেয়ার জন্য প্রাথমিক বিকাশ অ্যাপ এ প্রবেশ করুন। বিকাশের ড্যাশবোর্ড থেকে টেবিল অপশন বাছাই করুন তারপর সরকারি ফি থেকে এনআইডি সার্ভিস সিলেট করুন আবেদনের ধরন এবং আইডি কার্ডের নাম্বারটি পেমেন্ট করুন। সংশোধনের ধরন বাছাই করলে বিকাশ অ্যাপ আপনাকে কত টাকা পেমেন্ট করতে হবে তা দেখাবে আপনার বিকাশে পর্যাপ্ত টাকা না থাকলে বিকাশের  পেমেন্ট করুন বাটনের চাপলে পেমেন্ট হয়ে যাবে। এখানে পেমেন্ট দেয়া হয়ে গেলে এনআইডি ওয়েবসাইটে আপনার একাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাবে। 

স্টেপ ৪-প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড

আপনি আইডি কার্ডের যে তথ্য পরিবর্তনের জন্য আবেদন জমা দিতে চলেছেন তা প্রমাণ করার জন্য প্রয়োজনে প্রমাণপত্র আপলোড করতে হবে। ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধনের জন্য সবথেকে কার্যকর প্রমাণ হলো শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ। তার পাশাপাশি অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদ আপলোড করতে হবে।

 পিতা মাতার নামের বানান পরিবর্তন করতে হলে আপলোড করতে হবে । ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন সাবমিট হয়ে গেলে আপনি চাইলে সংশোধন ফরম ডাউনলোড করে রাখতে পারেন। তবে অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে সংশোধন ফরম দরকার নেই। 

স্টেপ ৫- সংশোধিত আইডি কার্ড ডাউনলোড

আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবেদন সফলভাবে সাবমিট হলে এবং সাথে যথাযথ ডকুমেন্ট আপলোড দিলে সর্বোচ্চ ৪৫ ট্রেনের মধ্যে আবেদন অনুমোদন হয়ে যায়। তিন সপ্তাহের মধ্যে সংশোধন আবেদন এপ্রুভ হয়ে যায়। আপনার আবেদন  পেলে ফোনে মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। তারপর আপনি সেটা অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন। 

ভোটার আইডি কার্ড এর ঠিকানা পরিবর্তন 

ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার জন্য প্রথমে আপনাকে এনআইটি ফরম ১৩ ডাউনলোড করে নিতে হবে। তারপর ভোটার এলাকা পরিবর্তন ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। সবশেষে বর্তমান ভোটার এলাকার উপজেলা নির্বাচন অফিসের প্রয়োজনে কাগজপত্র ফরমটি জমা দিন ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আপনার ভোটার এলাকা পরিবর্তন হবে।

বর্তমানে আপনি যে এলাকায় ভোটার আছেন হতে পারে এটা আপনার স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমান ঠিকানা সেখানকার নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভোটার স্থানান্তর ফরম পূরণ করে আপনার জমা দিতে পারেন। স্থানান্তরের জন্য অনুমোদন হলেই ওই এলাকার ভোটার তালিকা আপনি নাম অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে হএবং আপনি সেখানে ভোট দিতে পারবেন।

ভোটার এলাকা স্থানান্তরের পর আপনি কিন্তু নতুন ঠিকানা যুক্ত জাতীয় পরিচয় পত্র পাবেন না। আপনার সংশোধিত জাতীয় পরিচয় পত্র প্রয়োজন হলে আপনাকে এনআইডি রিইসু ফি পরিশোধ করে জাতীয় পরিচয় পত্র  আবেদন করতে হবে।এলাকা পরিবর্তন করতে কি কি লাগে।

ভোটার স্থানান্তর যে কাগজপত্র গুলো লাগে সেগুলো নিচে দেয়া হল-

  • এন আই ডি ফর্ম ১৩
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি যে এলাকায় স্থানান্তর হবেন সেই এলাকার নাগরিক সনদপত্র 
  • বিদ্যুৎ বিল পানি বিল ট্যাক্স রশিদ বাড়ি ভাড়ার প্রমাণ পত্র
  • হিসেবে সংশ্লিষ্ট এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলের জন প্রতিনিধির এনআইডি নাম্বার সহ নাম স্বাক্ষর সিল থাকতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধন

ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধন করার জন্য এনআইডির ওয়েবসাইটে গিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর লগইন করে প্রোফাইল অপশনে যেতে হবে এডিট লিংকে ক্লিক করে সঠিক জন্ম তারিখ লিখে ফি পরিশোধ করুন। সবশেষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে আবেদন সাবমিট করুন জাতীয় পরিচয় পত্রে বা ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধন করতে প্রয়োজন হয় এসএসসি এইচএসসি সার্টিফিকেট ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন।

সংশোধন কি পরিষদ করে আবেদন জন্মদিন ডকুমেন্ট আপলোড করার সময় আপনার জন্ম তারিখ প্রমাণিত হয় এমন প্রমাণপত্র জমা দিন জন্ম তারিখ সংশোধন করতে এইচএসসি এসএসসি জেএসসি সার্টিফিকেট কিংবা পাসপোর্ট আপলোড দিলে অনুমোদন পাওয়া যায়। তবে যে সব ডকুমেন্ট প্রমাণ হিসেবে আপলোড করা হোক না কেন আপনার সংশোধন আবেদনের সাথে ডকুমেন্টের মিল থাকতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ডের সংশোধন করতে কতদিন লাগে 

জাতীয় পরিচয় পত্রের সংশোধন হতে আরো অনেক সাতদিন সময় লাগে তবে নির্মল ভাবে আবর্তন করলে বিভিন্ন ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে অনুমোদন হয়ে যায়।

  • নাম সংশোধন বানান জনিত ভুল উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে ঠিক করে দেয়া হয়।
  • ১ থেকে ৪ বছর জেলা অফিসার কর্তৃক ঠিক করে দেয়া হয়।
  • নির্বাচন অফিসে ঠিক করে দেওয়া হয়।
  • জটিল কোন পরিবর্তন করার জন্য মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করতে হয়।

আবেদনের ক্যাটাগরি অনুসারে কিছু কিছু আবেদন থানা উপজেলা নির্বাচন অফিসে নিষ্পত্তি হয়। কিছু কিছু আবেদন অ্যাপ্রভ হয় জেলা নির্বাচন অফিসে। জটিল আবেদনগুলো আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে এমনকি নির্বাচন কমিশনের সচিব নিজে অনুমোদন দিয়ে থাকে। তাই ক্যাটাগরি অনুসারে সংশোধনের সময় বিভিন্ন হয়ে থাকে। বেড়ে যেতে পারে। 

এক লিখিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে যে জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তাদের বলেছেন যে সব আবেদন দীর্ঘদিন যাবৎ তদন্ত প্রয়োজন এসব আবেদন নিষ্পন্ন করার জন্য ১৪দিনের সময়ে দিয়ে চাপটাকে তদন্ত নির্দেশ প্রেরণ করা হয় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্তে উপস্থিত না হলে আবেদন বাতিল। সুপারিশ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে হয়।

 এছাড়াও জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন সংক্রান্ত তথ্য কার্যক্রমের সরকারি সহকারী উপজেলা থানা নির্বাচন অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন করতে হবে অফিসারদের সম্পৃক্ত করতে হবে এক্ষেত্রে সরজমিনে তদন্ত কার্যন সম্পন্ন করে সুস্পষ্ট মতামত সহ প্রতিবেদন আবেদনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। আবেদনকারীদের জাতীয় পরিচয় পত্রের বিদ্যমান তথ্যের ভুল থাকার কারণে এবং সংশোধিত তথ্য কোন উদ্দেশ্য চাওয়া হচ্ছে তা তদন্ত প্রতিবেদনে শেষ কষ্টে উল্লেখ করতে হবে।

 অন্যদিকে নতুন ভোটা নিবেদনের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার এর মাধ্যমে ভোটারকে ছবি তোলার তারিখ সময় ও কি কি দলিলাদি প্রয়োজন হবে তার সিস্টেম জানতে হবে জানা গেছে। বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে দশটি নির্বাচনে অঞ্চলে ৬ লাখ ৬৫ হাজার ৫১৬ টি এন আই ডি আবেদন অসম্পূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এগুলার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরি অবস্থায় রয়েছে ২ লাখ ৬৮ হাজার২৯৪ আবেদন আর তথা কিংবা দলিলাদে জটিলতা সংক্রান্ত আবেদন ঝুলে আছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ২২টি। 

ভোটার আইডি কার্ডে রক্তের গ্রুপ পরিবর্তন বা যুক্ত করা

তিন আইডি কার্ডের রক্তের গ্রুপ থাকা খুবই জরুরী কোন জরুরি মধ্যে আইডি কার্ড দেখে রক্তের গ্রুপ সম্পর্কে জানতে পারবে আইডি কার্ডের রক্তের গ্রুপ পরিবর্তন করতে স্বাস্থ্য ক্লিনিক থেকে ব্লাড গ্রুপ টেস্ট রিপোর্ট আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে এবং আবেদনটি আপলোড করতে হবে তাহলে ভোটার আইডি কার্ডের রক্তের গ্রুপটা দেখা যাবে। 

মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করব কি করে

আইডি কার্ডের মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করার জন্য এনআইটি ওয়েবসাইটের রেজিস্ট্রেশন করার সময় ফোন নাম্বার ভেরিফিকেশন করতে ও টি পি ও পাঠানো হয়। সে ধাপে মোবাইল পরিবর্তন করুন বাটনের চাপে আপনার নতুন মোবাইল নাম্বার দিলে মোবাইল পরিবর্তন হয়ে যাবে। এটার জন্য আলাদা করে কোন আবেদন করতে হবে। 

বাবা মায়ের নামে ভুল থাকলে সংশোধন করতে কি লাগে

আপনার এনআইডি কার্ডে পিতা-মাতা নামে ভুল থাকলে তা পরিবর্তন করতে উপরে তাকানো নিয়ম নাই আবেদন করতে পারবেন এখানে আবেদন জমা দেওয়ার আগে প্রমাণের ডকুমেন্ট হিসেবে আপনি জাতীয় পরিচয়বনের আইডির স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী আবেদন ফি জমা দিয়ে আবেদনটি সম্পন্ন করতে হবে। 

স্মার্ট কার্ড কিভাবে সংশোধন করা যায়

স্মার্ট কার্ড সংশোধনের জন্য প্রথমে এনআইডি ওয়েব সাইটে আপনি স্মার্ট কার্ড নাম্বার ও জন্ম তারিখে রেজিস্ট্রেশন করুন ফেস ভেরিফিকেশন করে লগইন করুন এবার প্রোফাইল অপশন এ যান এবং এডিট লিংকে ক্লিক করে তথ্য সংশোধন করুন।

স্মার্ট কার্ড সংশোধন ফি কত

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে সর্বনিম্ন ২৩০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৪৫ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। আবেদনের ক্যাটাগরি ধরণের উপর সংশোধন কে নির্ভর করে তবে স্মার্ট কার্ড সংশোধনটি সর্বনিম্ন ২০৩০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। সমস্ত ডকুমেন্ট ঠিক করে আপলোড দিয়ে আপনার কাজটি সম্পন্ন করলে ১৪ থেকে ২০ দিনের মধ্যে স্মার্ট কার্ড সংশোধন হয়ে যায়।

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফি

জাতীয় পরিচয় পত্র ও ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে ও কিভাবে এফি পরিশোধ করবেন বিস্তারিত বলা হলো এ ব্লগে আমরা জানতে পারবো কোন  ধরনের তথ্য সংশোধনের জন্য কত টাকা ফ্রি দিতে হবে বাড়তি কোন ফ্রি লাগে কিনা এবং কিভাবে ভোটার আইডি কার্ডের পরিশোধ করবেন।  

  • এনআইডির তথ্য সংশোধন ২৩০ টাকা
  • অন্যান্য তথ্য সংশোধন ১১৫ টাকা
  • উভয় তথ্য সংশোধন ৩৪৫ টাকা
  • রি এসো ৩৪৫ টাকা
  • জরুরী ৫৭৫ টাকা  


জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন চেক করার নিয়ম

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদন করার পর ও জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন চেক দিতে হবে এটা হচ্ছে সর্বশেষ অবস্থা। বর্তমানে অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানা যাবে চলুন জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের চেক করার নিয়ম জেনে নিন। বর্তমানে বেশ কয়েকটি পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন যাচাই করা হচ্ছে। 

নিচে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন চেক করার নিয়ম বর্ণনা করা হলো-

  • ভূমি মন্ত্রণালয় ওয়েব সাইটে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন চেক।
  • ভূমি মন্ত্রণালয় ওয়েব সাইটে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন চেক করতে তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
  • তারপর মোবাইল নাম্বার এর ঘরে আপনার একটি মোবাইল নাম্বার দিন যোগ করুন এর ঘরে যোগ ফেলতে পরবর্তী পদক্ষেপ ক্লিক করে করুন।
  • এরপর আপনার মোবাইল নাম্বার একটু ওটিপি কোড যাবে সেই ওটিপি কোড দিয়ে যাচাই করুন বাটনে ক্লিক করুন।
  • পাসওয়ার্ড সেট করুন তারপর সংরক্ষণ অপশন ক্লিক করুন।
  • এবার নাগরিক লগইন অপশনে ক্লিক করে মোবাইল নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন অপশনে ক্লিক  করুন।
  • সফলভাবে লগইন হওয়ার পরে আপনার একাউন্টের ড্যাশবোর্ড দেখতে পাবেন ড্যাশবোর্ড থেকে এনআইডি ভেরিফিকেশন করুন বাটনে ক্লিক করুন।
  • এমন দুটি ফাঁকা ঘর দেখতে পাচ্ছেন প্রথম ফাঁকা ঘরে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার ও দ্বিতীয় ফাঁকা ঘরে জন্ম তারিখ দিন।
  • এ দুটি তথ্য সঠিক দেয়ার পরে যাচাই ও হালনাগাদ  করুন।

অনলাইন জিডিএফ দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করুন

বর্তমানে মোবাইল এখন দিয়েও জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন যাচাই করা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক অনলাইন জিডি অ্যাপটি পাবলিশ হয়েছে এই অ্যাপস ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয় পত্রের সর্বশেষ অবস্থা জানা যাবে স্টোর থেকে অনলাইন জিডি অ্যাপটি ইন্সটল করুন তারপর অ্যাপটি ওপেন করে নিবন্ধন অপশনে ক্লিক করুন। এখন আপনি হয়তো দুটি ফাঁকা ঘর দেখতে পাচ্ছেন জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার এর ঘরে ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার দিন এরপর জন্ম তারিখ দিন। তারপর পরিচয় পত্র যাচাই অপশনে ক্লিক করে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের সকল তথ্য দেখতে পারবেন।

  • এসএমএস এর মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করার নিয়ম
  • যাদের কাছে স্মার্টফোন নেই তারা এসএমএস এর মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন যাচাই করতে পারবেন
  • এজন্য মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে এন আই ডি নাম্বার স্পেস এন আই ডি নাম্বার স্পেস জন্ম তারিখ এই ফরমেট দিয়ে ১০৫ নাম্বারে পাঠিয়ে দিন
  • অতঃপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন কি অবস্থায় রয়েছে তা দেখতে পারবেন। 

আমাদের শেষ কথা

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আশা করছি প্রকৃতি ধাপে ধাপে সাজানো হয়েছে। এবং আপনাদের বুঝতে কোন সমস্যা হয়।এনআইডি কার্ডের তথ্য কোন প্রকার ভুল থাকলে তা অনলাইনে আবেদন করার মাধ্যমে সংশোধন করা যায় সাধারণত নতুন ভোটার আবেদন করার সময় কেউ ভুল তথ্য প্রদান করলে অথবা কম্পিউটার অপারেটর ভুল টাইপিং করার ফলে আইডি কার্ড ভুল হয়ে থাকে।

জাতীয় পরিচয় পত্র যে কোন ভুল এখন অনলাইনে সংশোধন আবেদনের মাধ্যমে পরিবর্তন করা যায় এনআইডি কার্ডে নিজের নাম ভুল থাকলে অথবা হলে তাও সংশোধন করা সম্ভব।আপনি উপরোক্ত আলোচনা গুলো ভালোভাবে পড়লে বুঝতে পারবেন ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে সংশোধন করা যায় এবং এটা আপনি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে একাই করতে পারবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url