হার্টের ব্লক দূর করার ব্যায়াম
হার্টের ব্লক বা হার্ট আর্টারি ব্লকেজ একটি গুরুতর সমস্যা যা অনেকের জীবনে বিপদ সৃষ্টি করে। এ অবস্থায়, হৃদয়ে ধমনীতে চর্বির জমাট বাধা ঘটে, যা রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয় এবং হার্ট এটাকে ঝুঁকি বাড়ায়।
তবে, জীবন যাপনের পরিবর্তন এবং নির্দিষ্ট ধরনের ব্যায়াম অনুশীলন করে এই ঝুঁকি কমানো সম্ভব। আমাদের আজকের ব্লগে আমরা আলোচনা করব এমন কিছু ব্যায়ামের বিষয়ে যা হার্টের ব্লক দূর করতে সাহায্য করে।
পেজ সূচিপত্রঃ হার্টের ব্লক দূর করার জন্য উপযোগী ব্যায়াম
- হার্টের ব্লক দূর করার ব্যায়াম
- হার্টের ব্লক ঝুঁকি কমাতে করণীয়
- হার্টের ব্লকের জটিলতা
- বয়স অনুযায়ী হার্টের ব্যায়াম
- যে অভ্যাসগুলোতে হার্ট সুস্থ থাকবে
- হার্টের ব্যায়াম এর পাশাপাশি খাবার
- হার্টের সুস্থতার জন্য যোগব্যায়াম
- আমাদের শেষ কথা
হার্টের ব্লক দূর করার ব্যায়াম
জীবন যাপনের পরিবর্তন এবং নির্দিষ্ট ধরনের ব্যায়াম অনুসরণ করে হার্টের ক্লক
দূর করা সম্ভব। এই ব্যায়াম শুধুমাত্র হৃদয়ের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে না বরং
শরীরের মোট ফিটনেস বাড়ায়। এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে। এই ব্যায়াম যেমন
হালকা ও মাঝারি মাত্রার হৃদয়ের ব্যায়াম, তেমনি শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ও
হালকা যোগ অন্তর্ভুক্ত। এর আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত, কারণ প্রত্যেকের
শারীরিক অবস্থা ভিন্ন।
হার্টের ব্লক দূর করার জন্য ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হার্টের ব্লক দূর করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম আছে যেগুলো হৃদপিণ্ড স্বাস্থ্য এবং রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করে। এখানে কিছু ব্যায়াম এবং তাদের সঠিক পদ্ধতি, উপকারিতা এবং সাবধানতার বিষয়ে আলোচনা করা হলো-
১। হাঁটাঃ প্রতিদিন ওয়ার্কিং করা ব্লাড সার্কুলেশন বাড়াতে সাহায্য করে এবং হাটের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
দিনে ৩০ মিনিট মধ্যম গতিতে হাঁটুন।
হৃদয়ের কার্যকারিতা বাড়ায়, ওজন নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে।
অতিরিক্ত ক্লান্তি বা শ্বাসকষ্ট রাতে ধীরে ধীরে গতি বাড়ান।
২। সাইক্লিংঃ সাইক্লিং একটি উত্তম কার্ডিও ব্যায়াম হতে পারে, যা আপনার হার্টের কার্যক্রম ও কন্ডিশন ভালো রাখতে সাহায্য করে।
সপ্তাহে তিন থেকে চারবার ২০ থেকে ৩০ মিনিট করে সাইক্লিং করুন।
হৃদয়ের রক্তচাপ কমায়, মাংসপেশি শক্তি বাড়ায়।
অতিরিক্ত চাপড়ানোর জন্য মধ্যম গতিতে সাইক্লিং করুন।
৩। সাঁতারঃ সাঁতার একটি অসাধারণ ফিজিক্যাল কন্ডিশনিং ব্যায়াম, যা আপনার হার্টের স্বাস্থ্য মেলাতে সাহায্য করতে পারে।
সপ্তাহে তিন থেকে চার বার ৩০ মিনিট করে সাঁতার কাটুন।
হৃদয়ের কাজের দক্ষতা বাড়ায়, শরীরের উপর চাপ কমায়।
শ্বাস-প্রশ্বাসের সঠিক নিয়ম মেনে চলুন।
৪। যোগ ও প্রণায়ামাঃ ধ্যান দেয়ার সময়ে যোগাযোগ ব্যায়াম এবং মেডিটেশন আপনার মানসিক স্বাস্থ্য সুধরাতে সাহায্য করতে পারে এবং হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
রোজ ২০ থেকে ৩০ মিনিট যোগ অনুশীলন করুন।
মানসিক শান্তি, হৃদয়ের স্থিরতা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
অতিরিক্ত দীর্ঘ সময় ধরে কোনো আসনে থাকবেন না।
৫। হালকা ওজন তোলাঃ সপ্তাহের দু থেকে তিনবার, প্রতিবার ১৫ থেকে ২০ মিনিট হালকা ওজন তুলুন। মাংসপেশির শক্তি বাড়ায়, হৃদয়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। হার্টের ব্লক বেশি থাকলে ভারী ওজন এড়িয়ে চলুন।
হার্টের ব্লক ঝুঁকি কমাতে করণীয়
হার্টের ব্লক বর্তমানে একটি সাধারন কিন্তু গুরুতর সমস্যা। অনিয়ন্ত্রিত
জীবন যাপন অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও শারীরিক অনিয়মের কারণে এটি দিন দিন বেড়ে
চলেছে। তবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন মেনে চললে
হার্টের ব্লক থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।
স্বাস্থ্য সমস্যা হলেও সচেতন জীবনযাপন মেনে চললে এর থেকে অনেক অংশ কমানো সম্ভব।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস, নিয়মিত ব্যায়াম, ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন মানসিক চাপ
নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি সুস্থ জীবন যাপন করতে পারেন।
১। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস অনুসরণ করুন
বেশি পরিমাণে শাকসবজি, ফলমূল ও উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার খান।
ট্রান্স ফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত খাবার পরিহার করুন।
কম লবণ ও কম চর্বিযুক্ত খাবার খান।
বাদাম অলিভ অয়েল ফ্যাটি ফিস ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর চর্বির উৎস গ্রহণ করুন।
বেশি পরিমাণে পানি পান করুন।
২। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
অতিরিক্ত ওজন হাটের সমস্যার অন্যতম কারণ। নিয়মিত ব্যায়াম সঠিক খাদ্যাভাসের
মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী।
৩। নিয়মিত ব্যায়াম করুন
প্রতিদিন অন্তত 30 থেকে 40 মিনিট হাঁটুন।
যোগব্যায়াম সাইক্লিং ও সাঁতার কাটা হাটের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
বেশি সময় বসে না থেকে মাঝে মাঝে হাঁটার অভ্যাস করুন।
৪। ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন
ধূমপান অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ গুলো সংকুচিত করে, যা হার্টের ব্লকের ঝুঁকি বাড়ায়।
৫। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন
ধ্যান, যোগব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
পছন্দের কাজের সময় দিন ও পরিবার বন্ধুদের সাথে সময় কাটান।
৬। রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করুন
উচ্চ রক্তচাপ ও উচ্চ কোলেস্টেরল হার্টের ব্লকের অন্যতম কারণ। তাই নিয়মিত চেকআপ
করুন।
ওষুধ সঠিকভাবে গ্রহণ করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।
৭। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন
হার্টের সমস্যা নির্ণয়ের জন্য বছরে অন্তত একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত। এতে
যে কোন সমস্যা তাড়াতাড়ি প্রতিরোধ সম্ভব।
হার্টের ব্লকের জটিলতা
হার্টের ব্লক বা হৃদরোগের ব্লক হলো এমন এক অবস্থা যেখানে হৃদপিন্ডের রক্তনালী গুলো সংকীর্ণ হয়ে যায় অথবা বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে হার্টের রক্ত প্রবাহ ব্যাহত হয়। যা বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। হার্টের ব্লকের জটিলতা এড়াতে ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গ্রহণ করা জরুরী।
হার্টের ব্লক দূর করার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তবে এটি আপনার চিকিৎসকের
সাথে আলোচনা করে শুরু করতে হবে। হার্টের ব্লকের জটিলতা গুলো নিম্নে দেয়া
হলো-
- হার্ট অ্যাটাক হার্টের ব্লকের সবচেয়ে গুরুতরে জটিলতা। যখন হার্টের একটি অংশ রক্ত প্রবাহ সম্পন্ন বন্ধ হয়ে যায় তখন হার্ট অ্যাটাক ঘটে।
- হার্টের ব্লকের ফলে হার্ট তার কার্যকারিতা হারাতে পারে যা হৃদ যন্ত্রের দুর্বলতায় পরিণত হয়।
- হার্টের ব্লক স্পন্দনের অনিয়ম সৃষ্টি করতে পারে যা অস্বাভাবিক রেডিস্পন্দন হিসেবে পরিচিত।
- পর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহ না থাকলে অস্বস্তি হতে পারে যা এঞ্জাইনা নামে পরিচিত।
- হার্টের ব্লকের ফলে মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হতে পারে যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
- গুরুতর হৃদরোগের জটিলতার ফলে মৃত্যু ঘটতে পারে।
বয়স অনুযায়ী হার্টের ব্যায়াম
হার্ট সুস্থ রাখতে ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে বয়সের ভিত্তিতে ব্যায়ামের ধরন ও মাত্রা নির্ধারণ করা উচিত, যাতে একটি শরীরের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর হয়। এই আর্টিকেলে আমরা বিভিন্ন বয়স অনুযায়ী হার্টের ব্যায়াম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব-
কিশোর ও তরুণ ১৫-৩০ বছরঃ এ বয়সে শরীর তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী ও স্থিতিস্থাপক থাকে তাই হার্টের জন্য নিচের উপকারী হতে পারে।দৌড়, সাইক্লিং, সুইমিং, স্কিপিং।
প্রাপ্তবয়স্ক ৩০-৫০ বছরঃ এ বয়সের শরীরের মেটাবলিজম। কিছুটা কমে আসে এবং
হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে শুরু করে তাই সঠিকভাবে ব্যায়াম করা
গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট দ্রুত হাঁটা। যন্ত্রের সুস্থতা ও
মানসিক প্রশান্তির জন্য যোগ ব্যায়াম করা।
প্রবীণ ৫০+ বছরঃ এই সময়ে শরীর তুলনামূলক দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই নিরাপদ ও সহজ ব্যায়াম এর দিকে নজর দেয়া উচিত। প্রতিদিন ৩০ মিনিট ধীর গতিতে হাঁটুন। শরীরকে নমনীয় রাখতে হালকা স্ট্রেচিং করুন। জল ব্যায়াম করুন হার্ট এর জন্য নিরাপদ। এক্সারসাইজ করুন যা হাটের কার্যক্ষমতা ও অক্সিজেন মত করে।
যে অভ্যাসগুলোতে হার্ট সুস্থ থাকবে
আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে হার্ট অন্যতম। এটি সুস্থ থাকলে পুরো শরীর ভালোভাবে কাজ করে, কিন্তু অবহেলা করলে হৃদরোগসহ নানা জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের উচিত এমন কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তোলা, যা হার্টের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
আসুন জেনে নেই, কোন অভ্যাসগুলো হার্টকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।সুস্থ জীবনযাপনের জন্য আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখা খুবই জরুরি। উপরে উল্লেখিত অভ্যাসগুলো অনুসরণ করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে এবং সুস্থ জীবনযাপন করা সম্ভব হবে। তাই এখনই নিজের জীবনযাত্রায় এই পরিবর্তনগুলো আনুন এবং সুস্থ থাকুন!
১. স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন
হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিবর্তে বেশি পরিমাণে শাকসবজি, ফল, বাদাম, মাছ, এবং ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।
২. নিয়মিত ব্যায়াম করুন
সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন ৩০-৪৫ মিনিট করে হাঁটাহাঁটি, দৌড়ানো, যোগব্যায়াম বা সাঁতার কাটা হার্টের জন্য উপকারী। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।
৩. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন
প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম হার্টের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অনিদ্রা বা পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৪. মানসিক চাপ কমান
অতিরিক্ত মানসিক চাপ হৃদযন্ত্রের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। মেডিটেশন, ধ্যান, প্রিয় কাজ করা এবং পরিবার-বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো স্ট্রেস কমাতে সহায়ক।
৫. ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন
ধূমপান ও অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ হৃদযন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
৬. পর্যাপ্ত পানি পান করুন
দেহকে সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা প্রয়োজন। পানি রক্তকে তরল রাখতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৭. রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করুন
উচ্চ রক্তচাপ এবং অতিরিক্ত কোলেস্টেরল হৃদরোগের বড় কারণ হতে পারে। তাই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা জরুরি।
৮. স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন
অতিরিক্ত ওজন হৃদযন্ত্রের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা বিভিন্ন হৃদরোগের কারণ হতে পারে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার।
হার্টের ব্যায়াম এর পাশাপাশি খাবার
আমাদের হৃদয় (হার্ট) সুস্থ ও সবল রাখতে নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হার্টের সমস্যা এড়াতে এবং সুস্থ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে আমাদের খাবার ও ব্যায়ামের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য রাখা দরকার। এই আর্টিকেলে আমরা হার্টের জন্য উপযোগী ব্যায়াম ও খাদ্য নিয়ে আলোচনা করব।
১. শাক-সবজি ও ফলমূল
শাক-সবজিতে প্রচুর ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন থাকে যা হার্টকে সুস্থ রাখে। যেমন-
পালং শাক, ব্রোকলি, গাজর
আপেল, কলা, বেরি জাতীয় ফল (স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি)
২. সম্পূর্ণ শস্যজাতীয় খাবার
সম্পূর্ণ শস্যযুক্ত খাবার খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে, যেমন-
ওটস
ব্রাউন রাইস
চিয়া সিড ও ফ্লাক্স সিড
৩. স্বাস্থ্যকর ফ্যাট
হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী ফ্যাট গ্রহণ করা জরুরি, যেমন-
অলিভ অয়েল
বাদাম ও আখরোট
ফ্যাটি ফিশ (স্যালমন, টুনা, ম্যাকারেল)
৪. প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার
হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কম ফ্যাটযুক্ত প্রোটিন গ্রহণ করা দরকার, যেমন-
মুরগির মাংস
ডাল, ছোলা, মসুর ডাল
দই ও দুধ (লো-ফ্যাট)
৫. পানি পান করা
পর্যাপ্ত পানি পান করলে রক্তের সঞ্চালন ভালো হয় এবং হার্ট ভালো থাকে। প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
হার্টের সুস্থতার জন্য যোগব্যায়াম
১. তাড়াসন
এই আসন দেহের ভারসাম্য বজায় রাখে, রক্তসঞ্চালন উন্নত করে এবং মানসিক প্রশান্তি আনে।
২. ভুজঙ্গাসন
এই আসন হার্টের পেশিকে শক্তিশালী করে এবং ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৩. সুকাসন এবং মেডিটেশন
সুকাসন ও ধ্যান হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে, মানসিক চাপ দূর করে এবং আত্মিক প্রশান্তি আনে।
৪. প্রাণায়াম (শ্বাস নিয়ন্ত্রণ ব্যায়াম)
প্রাণায়াম, বিশেষ করে অনুলোম-বিলোম এবং ভ্রমরী প্রাণায়াম, হার্টের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url